ঢাকা,বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

নতুন রূপে কক্সবাজার ক্রিকেট একাডেমী

এম.এ আজিজ রাসেল :: পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ক্রিকেটের প্রথম প্রশিক্ষণ পাঠশালা কক্সবাজার ক্রিকেট একাডেমী। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠা লাভের পর ক্রিকেটে কক্সবাজারকে এগিয়ে নেওয়ার কাজ করে এই একাডেমী। এখান থেকে ক্রিকেটের বেসিকসহ পূর্ণাঙ্গ খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অগণিত মেধাবী। যারা দেশ সেরা হয়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সর্বত্র। এখনো কক্সবাজার ক্রিকেট একাডেমীর খেলোয়াড়েরা প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধ করছেন দেশের সুনাম। কক্সবাজারে প্রথম শ্রেণীর লীগসহ দেশের বিভিন্ন জেলার নামকরা ক্লাবের সাথে অসংখ্য ম্যাচ এখনো একাডেমীর ঝুলিতে আলো বয়ে আনে। নেপাল, ভারত, ভূটানসহ বিভিন্ন দেশের স্বনামধ্যন ক্রিকেট ক্লাব একাডেমীর আমন্ত্রণে কক্সবাজারে সফর করেছেন।

কিন্তু নানা জটিলতায় ঝিমিয়ে পড়ার পর আবারও পুরোদমে প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করেছে একাডেমী। নতুন রূপে ফুটে উঠেছে একাডেমীর কার্যক্রম। নিয়মিত প্র্যাকটিস, ভর্তি কার্যক্রম, খেলোয়াড়দের আবাসন ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণসহ নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে কক্সবাজার ক্রিকেট একাডেমী। ওবাইদুল হালিম চৌধুরী ফাউন্ডেশনের পৃষ্টপোষকতায় নতুনভাবে একাডেমীর হাল ধরেছেন প্রতিষ্ঠাতা লতিফ উল্লাহ চৌধুরী ও সাবেক খেলোয়াড় জিয়া উদ্দিন লাভু।

একাডেমীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিয়া উদ্দিন লাভু ও সাধারণ সম্পাদক লতিফ উল্লাহ চৌধুরী বলেন, এই একাডেমীর ইতিহাস সমৃদ্ধময়। এখান থেকে সৃষ্টি হয়েছে জাতীয় অনুর্ধ্ব ১৯ দলে সুযোগ পাওয়া হাসান মুরাদের মতো অনেক মেধাবী খেলোয়াড়। এখন আবারও শুরু হয়েছে একাডেমীর ভর্তি ও অনুশীলন কার্যক্রৃম। প্রতিদিন শুক্রবার ও শনিবার সকাল ৮টা হতে ১০টা পর্যন্ত এবং সোমবার ও মঙ্গলবার দুপুর ৩টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পর্যটন গলফ মাঠে সপ্তাহে ৪দিন প্র্যাকটিস চলছে। ইতোমধ্যে একাডেমীর সাবেক খেলোয়াড় সাইরুল্লাহ রুবেল নবীণ খেলোয়াড়দের মাঝে বিতরণ করেছেন ক্রীড়া সামগ্রী। এছাড়া গরীব মেধাবী খেলোয়াড়দের খাওয়া—দাওয়া ও আবাসনসহ নানা সুবিধা দেওয়া হবে। একাডেমীর কার্যক্রম পরিচালনায় নেওয়া হয়েছে নতুন অফিসও। সবমিলিয়ে ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে আবারও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে কক্সবাজার ক্রিকেট একাডেমী।

পাঠকের মতামত: